**ছাতিম *সপ্তপর্ণী ****Devilles Tree ** **Blackboard Tree**


   ****ছাতিম  *****
    **** সপ্তপর্ণী ****
    **Devilles Tree **
   **Blackboard Tree**

প্রকৃতিপ্রেমীদের কাছে পরিচিত ছাতিম গাছ।
এ গাছে নাকি ভূত থাকে। তাই ইংরেজিতে ডাকা হয় ‘ডেভিলস ট্রি’। 

* পরিচয়: বৈজ্ঞানিক নাম - Alstonia scholaris
এটি Apocynaceae গোত্রের  গাছ।

* বৈশিষ্ট্য: এ গাছ ৪০ মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়। গাছটি বহু শাখা বিশিষ্ট। এর ছাল গন্ধহীন, অসমতল ও ধুসর। কাঠের রং সাদা। এর কাঠ বেশ নরম। এর শাখা পত্রমূলাবর্ত বিশিষ্ট। একই মূলাবর্তে ৪-৭টা পর্যন্ত পাতা থাকে। পাতাগুলো ১০ থেকে ১৫ সেন্টিমিটার লম্বা হয়। চওড়া হয় ২-৪ সেন্টিমিটার। ছাতিম পাতা চামড়ার মতো পুরু। এর বোঁটা ০.২৫-০.৬০ সেন্টিমিটার হয়। ছাতিমের বীজ লম্বাটে ডিম্বাকার, কিনারায় আঁশ থাকে। ছাতিম গাছের অভ্যন্তরে দুধের মতন সাদা এবং অত্যন্ত তেতো কষ প্রচুর থাকে।

* ওষুধি গুণ :
১। কফের আধিক্যসহ হিক্কা শ্বাসে ছাতিম ছালের আধা চা চামচ রস চার ভাগের এক কাপ দুধের সাথে মিশিয়ে খেলে উপশম হয়।

২। ঠাণ্ডা লেগে বুকে সর্দি বা ল্লেষ্মা বসে গেলে জল মিশানো দুধে ১ গ্রাম ছাতিম ছাল গুঁড়া দিয়ে অল্পক্ষণ ফুটিয়ে সেটা খেতে হবে। এতে সর্দিটা তরল হয়ে উঠে আসবে।

৩। মায়ের বুকের দুধ কমে গেলে ৫/৬ গ্রাম ছাতিম ছাল ছেঁচে/থেঁতো করে ২ কাপ জলে মিশিয়ে সিদ্ধ করে আধা কাপ হলে নামিয়ে ছেকে তার সাথে আধা কাপ দুধ মিশিয়ে খেতে হবে।
৪। ছাতিমের আঠা ৮/১০ ফোঁটা গরম জলে মিশিয়ে সেই জল দিয়ে গারগল করলে বা সম্ভব হলে ২/৪ মিনিট মুখে পুরে রেখে ফেলে দিতে হবে। এভাবে একদিন পরপর করলে পায়োরিয়া ভালো হয়।
৫। কোনো ব্রণের ক্ষত কোনোভাবেই না সারলে ছাতিমের আঠা শুকিয়ে গুঁড়া করে ক্ষতের উপর ছিটিয়ে দিলে সেবে যাবে।

৬। দাঁতের যন্ত্রণায় আক্রান্ত দাঁতে ছাতিমের আঠা দিতে হয়। এতে দাঁত ব্যাথা কমে যায়।

৭। মাঝে মাঝে জ্বর হয়, মুখে অরুচি, দাঁত পরিষ্কার হয় না, আস্তে আস্তে চেহারা ফ্যাকাসে হয়ে যাচ্ছে, এরূপ ক্ষেত্রে ১০/১২ গ্রাম ছাতিম ছাল চাল ভাগের তিন কাপ জলে সিদ্ধ করে (শুকনা ছাল ৫/৬গ্রাম) ছেঁকে নিয়ে ঐ জল সমান ভাগে সকালে ও বিকেলে খেলে ২/১ দিনের মধ্যেই জ্বর সেরে যায়।

৮। বাকলের বা ছালের নির্যাস উচ্চ রক্তচাপ ও ক্যান্সারের ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

কলমে - সন্তু 🌿


এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

জারুল ফুল .....

*** শিউলি ফুল ***