জারুল ফুল .....

জারুল ফুল.................
মন ভরে যায় .......
পাপড়ির নমনীয় কোমলতা, দৃষ্টিনন্দন বর্ণচ্ছটা নিয়ে প্রকৃতিকে আরও সুন্দর করে সাজিয়ে তোলা ফুলটিকে দেখে ৷
ফুলটির পরিবার: Lythraceae, বৈজ্ঞানিক নাম : Lagerstroemia speciosa।
বৃক্ষ জাতীয় জারুল ফুলের আদি নিবাস শ্রীলংকা। নীলাভ ও গোলাপি দু’রঙের জারুল ফুল পশ্চিমবঙ্গে সর্বত্রই চোখে পড়ে। এই পাতাঝরা বৃক্ষ শীতকালে পত্রশূন্য থাকে। বসন্তে নতুন গাঢ় সবুজ পাতা গজায়।
জারুলের দৃষ্টিনন্দন রঙ ও রূপ নয়নাভিরাম, ফুলের পাপড়ি ছয়টি, ফুলের মাঝখানে হলুদ রঙের পরাগ রয়েছে। গাছ সাধারণত ১০ থেকে ১৫ মিটার উঁচু হয়।

গাছের পাতা সবুজ, পুরু ও বেশ বড়। গাছের শাখা-প্রশাখা ও কাণ্ড শক্তমানের, শাখা-প্রশাখার অগ্রভাগে দণ্ড বোঁটায় অসংখ্য ফুল ফোটে। বোঁটার নিচ থেকে প্রথম ফুল ফোটা শুরু হয়ে বোঁটার সামনের দিকে ধীরে ধীরে ফুল ফোটে।

জারুল গাছে এপ্রিল থেকে জুন মাসে ফুল আসে। ফল পরিপক্ব হয় অক্টোবর থেকে জানুয়ারী মাসের মধ্যে। জারুল গাছ যখন ফুলে ফুলে ভরে যায় তখন চারদিক ঘ্রাণে মোহিত হয় না বটে, দৃষ্টিনন্দন শোভায় সবারই চোখ আটকে যায়। আকৃতি ভিন্ন হলেও জারুল ফুলের রং সাধারণত কচুরীপানা ফুলের মতো বেগুনী আর সাদার মিশ্রন।

ফুল শেষে গাছে বীজ হয়, বীজ দেখতে গোলাকার ও বীজের মাধ্যমে বংশবিস্তার করা হয়। জারুল ভারতীয় উপমহাদেশের নিজস্ব বৃক্ষ। বাংলাদেশ, ভারত ছাড়াও চীন, মালয়েশিয়া প্রভৃতি অঞ্চলে জারুলের দেখা মেলে। নিান্মা্চলের জলাভূমিতে এটি ভালোভাবে বেড়ে উঠতে পারে, তবে শুকনো এলাকাতেও এদের মানিয়ে নিতে সমস্যা হয় না।
 জারুল কাঠ লালচে রঙের, অত্যন্ত শক্ত ও মূল্যবান। ঘরের কড়ি, লাঙল, আসবাবপত্র ইত্যাদি তৈরিতে ব্যবহার করা হয়।
 জারুল গাছের ভেষজ গুণও রয়েছে। এর বীজ ও পাতা ডায়াবেটিস রোগের ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এছাড়া জ্বর, অনিদ্রা, কাশি ও অজীর্ণতায় জারুল উপকারী।

ছবি:   কল্যানি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস                                 তথ্য:  google                                                                  কলমে: Santu ......

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

*** শিউলি ফুল ***

**ছাতিম *সপ্তপর্ণী ****Devilles Tree ** **Blackboard Tree**