*** শিউলি ফুল ***
***শিউলি ফুল ***
* শিউলির সুবাস ও
শিউলি ফুল ছাড়া শরৎ যেমন নিষ্প্রাণ .......
তেমনি শারদীয় উৎসবও অনেকটাই অসম্পূর্ণ.......... ভারতীয় উপমহাদেশে এই ফুলকে দুর্গা পূজার আগমনি ফুুলও বলা হয়৷
* বৈজ্ঞানিক নাম: Nyctanthes arbor-tristis
লাতিনভাষায় Nyctanthes-এর অর্থ হচ্ছে “সন্ধ্যায় ফোটা” এবং arbor-tristis-এর মানে হচ্ছে “বিষণ্ন গাছ”। সন্ধ্যায় ফোটা আর সকালে ঝরা ফুলের মাঝে বিষণ্নভাবে দাঁড়িয়ে থাকাটাই এই রকম নামকরণের কারণ বলে ধারণা করা হয়।
* শিউলিকে কখনও কখনও "tree of sorrow" বা "দুঃখের বৃক্ষ"-ও বলা হয় কারণ দিনের আলোতে এই ফুল তাদের উজ্জ্বলতা হারায়।
* এটি শেফালী ও পারিজাত নামেও পরিচিত।
* শিউলি গাছ নরম ধূসর ছাল বিশিষ্ট হয় এবং ১০ মিটারের মত লম্বা হয়। গাছের পাতা গুলো ৬-৭ সেন্টিমিটার লম্বা ও সমান্তরাল প্রান্তের বিপরীতমুখী থাকে। সুগন্ধি জাতীয় এই ফুলে রয়েছে পাঁচ থেকে সাতটি সাদা বৃতি ও মাঝে লালচে-কমলা টিউবের মত বৃন্ত। এর ফল চ্যাপ্টা ও বাদামী হৃদপিণ্ডাকৃতির। ফলের ব্যাস ২ সেন্টিমিটার এবং এটি দুই ভাগে বিভক্ত। প্রতিটি ভাগে একটি করে বীজ থাকে।
* **একটি গল্পও আছে, এই ভেষজ বৃক্ষের...........
পারিজাতিকা নামে এক রাজকন্যা সূর্যের প্রেমে পড়ে তাকে কামনা করেন। কিন্তু শত চেষ্টা করেও পান না। তাই তিনি আত্মহত্যা করেন। তার দেহের ভস্ম পারিজাতবৃক্ষ রূপে ফুটে ওঠে। যে কিনা নিরব ব্যর্থ প্রেমের প্রতীক! সূর্যের স্পর্শ মাত্র যে ঝরে পড়ে অশ্রুবিন্দুর মত। পৃথিবীর বুকে তুমি তার দুঃখের চিহ্ন দেখবে শত শত অশ্রুবিন্দুর মত সে সুগন্ধি ছড়িয়ে থাকে চারদিকে, আমরা এখন তাকে শিউলি রূপে দেখি তার শুভ্র দেহে গৈরিক বসনেl
* উপকারিতা:
ভেষজ জগতে শিউলির স্থান উঁচুতে। বাত ব্যথায় শিউলির রস প্রাচীনকাল থেকে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। শিউলি পাতার রস বলকারক। জ্বর ও আমবাতেও ব্যবহৃত হয়। টাটকা পাতার রস মধুর সঙ্গে খেলে পুরনো জ্বরে বিশেষ উপকার পাওয়া যায়। শিউলির ছাল-পাতার রস মেদ কমায়। তাই সকাল-বিকাল খাওয়ার পরামর্শ দেন কবিরাজরা৷
* আর সব শেষে বলতে হয় শিউলি ছাড়া কোন বাগান পূর্ণতা পায় না।
কলমে: সন্তু দে
তথ্য : কল্যানী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিয় গ্রন্থাগার
ছবি: নিজস্ব সংগৃহিত